Skip to main content

স্বরচিত চিঠি কাব্য





অনামিকা,
আজ ইচ্ছে করছে কয়েক দিস্তা কাগজে তোমায়
একটা প্রেমের চিঠি লিখতে।হয়তো আমি কবি নয় তাই
কবিদের ভাষা না হোক আমার মনের ভাষায় লিখতে। 
হৃদয়ের কথা গুলো তুমি মন দিয়ে পড়বে আর হারিয়ে
যাবে আমার ভালোবাসার গভীরে।আগে কখনো তোমায়
চিঠি লিখিনি,আজ লিখবো,আমার খুব ইচ্ছে,তোমার 
আমার প্রেমের কথা এমন করে লিখবো,যা তোমার চোখে
পড়বে,আর তুমি তা পড়বে....
অনামিকা
ওগো আমার অনামিকা,,
কেমন আছ তুমি?নিশ্চয় অনেক ভাল আছ,সুখেই আছ।তোমার সুখের পথে
আমি তো একমাত্র বাঁধা ছিলাম।এখন আমি নেই,নেই কোনো অস্তিত্ব কিংবা এমন কোনো স্মৃতি,যা তোমার সুখ
স্বপ্নে হানা দিবে। 
আর তোমার''বাবু
জানি আমি কেমন আছি তা জানবার কোনো আগ্রহই নেই
তোমার মাঝে।কখনো কখনো খুব অবাক হয় কেমন করে
এতটা অনুভতি শূন্য হয়ে গেলে তুমি?জানি এখনও তুমি
সবার সাথে হাসো,হৃদয় দিয়ে সবাই কে ভালবাসো,এর মাঝে শুধু আমার প্রতি তোমার অনুভতি শূন্যতা কেন?খুব কষ্ট লাগে।
অনামিকা,,তুমি কি জানো,মানুষ কেন একজন অন্য জন কে ভালবাসার কথা বলে,অনুভতি দেখাতে কাছে আসে বা
আসতে দেয়,তার পড় নিজের সুখের প্রয়োজনে সেই ভালবাসার মানুষকে বলে,
আমি জানিনা তোমায় ভালবাসি কি-না!
অথবা,,আমায় একা থাকতে দাও!
অথচ একবারও ভাবেনা,তাকে ভালবাসলো যে মানুষটি
সে একা থাকতে চাই কি-না।
অনামিকা
ঠিক তুমি যেমনটা আমার সাথে করেছ।নিজেকে অনেক
বেশি সহজ সরল মনে করো,মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন
ভাব,অথচ ভালবাসি বলে ভালবাসার মানুষকে ময়লার মত ডাস্টবিন এ ফেলে
দেয়া,মানবিকতার কোন পর্যায়ে পড়ে সে ব্যাখ্যা কখনো
দাওনি।
অনামিকা জানো কি,
তোমার একটু প্রিয় হওয়ার জন্য,একটু তোমার ভালবাসা
পাওয়ার জন্য কত না চেষ্টা করেছি,আর সেগুলো তোমার
কাছে সব সময় মূল্যহীন-ই থেকে গেছে।
অনামিকা একদিন রাত 12টাই দু'চোখে ঘুম আসছিলোনা,বার বার তোমায় দেখতে ইচ্ছে করছিল,তাই তোমার বাসার উদ্দেশে রাওয়ানা দিলাম,হঠাত্‍ আঝর ধরায় বৃষ্টি এলো
ভেবেছি বৃষ্টি দেখতে হয়তো বরান্দায় আসবে,কিন্ত তুমি আসোনি,পরে
তোমায় বলিনি হয়তো তুমি শুনলে রাগ করতে,যে আমি বৃষ্টিতে ভিজেছি,জানো সেদিন ঠান্ডায় আমি সাত দিন
পড়ে বন্ধ ঘরের বিছানায়।
অনামিকা আমি কোনো কবি ছিলাম না তবুও তোমায় শুনাবো
বলে লিখতাম তুমি শুনতে ভাল না লাগলেও বলতে ভাল
লেগেছে,ভাল হয়নি আমি জানতাম,তবুও তোমার মুখে
ভাল কথা টা শুনে নিজেকে কবি কবি ভাবতাম।তবে 
কি জানো তুমি আমার সব কিছুতেই মিথ্যে দোষ দিতে,
কিন্ত মিথ্যে অপবাদ মানুষ কে অনেক বেশি কষ্ট দেই,আমি কষ্ট পেতাম
কিন্ত সেগুলো মেনে নিতাম,ভাবতাম তুমি ভুল বুঝতে পেরে হয়তো তোমার হৃদয়ে জায়গা দিবে।
মনে পড়ে অনামিকা,,
একদিন তুমি বলেছিলে আমায় অনেক বেশি ভালবাস,
এটাই তোমার বড় দোষ।কষ্ট যতটা না পেয়েছিলাম,তার
অনেক বেশি অবাক হয়েছিলাম তোমার মুখে কথাটা শুনে,অনেক বেশি অভিমান হয়েছিল তোমার উপর।
কিন্ত রাগ করতে পারিনি,আজও পারিনা।আজও মনে হয়
আমি তোমার ভালবাসা পাবার যোগ্য নয়।আমার মত একটা অনাড়িকে কেনই বা ভালবাসবে তুমি মুক্ত পাখি?
অনামিকা,,তোমার সকল অভিযোগের মাঝে ছিল আমি স্বপ্নচারী মানুষ।হ্যাঁ আমি স্বপ্নচারী মানুষ ছিলাম।যখন আমি প্রথম বা
দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি,তখন থেকে এই অভ্যাসের শুরু।
বয়স যখন বাড়তে থাকলো,তখন এই কল্পনা গুলো তে সিনামা নাটকের প্রেম ভালবাসার প্রভাব বিস্তার শুরু হলো।
নিজেকে বেশির ভাগ সময় দেবদাস ধরনের চরিত্র দিয়ে কল্পনার সিনেমা তৈরি করতাম।
অনামিকা,,আমার স্বপ্নের ভূবনে তুমি যে দিন এলে আমার সব কিছু দিয়ে তোমায় আপন
করে নিলাম,কিন্ত তুমি আমার সরলতাকে কাজে লাগিয়ে
আমার নিঃস্ব করে,আমার গলায় ছুড়ি ধরে বলে দিলে স্বপ্নচারী মানুষেরা স্বপ্নেই সাথী হয়,বাস্তবে নয়।সময়ের পরিক্রমায় এখন আমি আর স্বপ্ন নিয়ে থাকিনা,অথচ আমি
বাস্তবেও নেই..
অনামিকা,,
তুমি আমায় যতটা খারব ভেবেছিলে,যতটা নষ্ট বেবেছিলে
তত টা হয়তো আমি নষ্ট নয়।তুমি শুধু তোমার যুক্তিগুলো
আমার সামনে হাজির করতে,অথচ আমার যুক্তি গুলো বিষ্লেশণ করার প্রয়োজন মনে করতেনা।
অনামিকা ..
তুমি কি রাগ হচ্ছো না কি বিরক্ত হচ্ছো?
না কি আমার লিখা দেখে চোখ সরিয়ে নিবে?
অনামিকা চিঠিটা শুধু তোমার জন্য লিখা,হয়তো আর কখনো
লিখতে পারবোনা।অনামিকা,,তুমি কি জানি আমি কেন তোমায়
আমার জীবনে চেয়েছিলাম,ভেবেছিলে শুধু আমার জন্য
না অনামিকা,আমার জন্য নয়,তোমার জন্যও নিজেকে তোমার সঙ্গে
জড়াতে চেয়েছিলাম।আমি তখনও তোমার সুখের কথা
ভেবেছি,এখনো তোমার সুখের কথা ভাবি।তাই তোমার
পথে না দাঁড়িয়ে,তোমায় চিঠি লিখছি,কেউ জানবেনা,শুধু অনামিকা আর বাবু জানবে।
অনামিকা
জোত্স্না রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে যায়,আমি তখন ঐ দূরের
আকাশে তাকিয়ে ভাবতে থাকি তোমায়,মনে পড়ে যায়
আমাদের সম্পর্ক শুরুর দিন গুলোর কথা,ঈদ এর দিন
প্রথম তোমায় দেখেছিলাম,আর তোমায় দেখেই মনের
মাঝে অনুভব করলাম সারাটা জীবন যদি তোমার হাতে
হাত রেখে সাথে সাথী করে চলতে পারতাম,তোমায় মনের
কথা জানালাম,তুমিও তো হাসি মুখে গ্রহন করলে।এর পর
দিন গুলো ছিল আমাদের স্বপ্নের মত,কিন্ত কিছু দিন পার হতেই তুমি
জানালে আমায় ভালবাসনা,তত দিনে আমার যা কিছু
ছিল তোমায় দিয়ে দিয়েছি।থাক আর সে কথা বলতে চাই
না,আজ তিন টা বছর হয় কাঁদছি,চোখের জল ও শেষ
এখন শুধুই রক্তক্ষরন বাঁকী,আশা করি এতেও তুমি
নিস্প্রভ থাকবে ঠিক আগের মত করেই।
আমার প্রিয় ভালবাসার
অনামিকা,,
তুমি যখন যা বলেছ মেনে নিয়েছি,কখনো কোনো জোর
করিনি,আজ একটা অনুরোধ করবো রাখবে?
কাউকে ভালবাসার আগে অথবা কাউকে ভালবাসতে দেওয়ার আগে আর একটু ভেবে নিও?
আমার মত আর কাউকে কাছে আসতে দিয়ে পড়ে ময়লা
ভেবে ফেলে দিওনা নর্দামায়।আর ভালবাসা যদি সত্যিই
শুধু খেলা ভাবো তবে মনে রেখো সে খেলায় সব সময়
জিতা যায়না।কারন সবাই তোমার বাবু'র মত হবেনা অনামিকা।
মানুষ কে ভালবাসতে না জানলেও মানুষের মন টাকে শ্রদ্ধা
করতে জেনো।
অনামিকা জানা নেই কেন গেলে কি ভুলে আমায় দূরে রাখছো,
তবে সব ভুলের ক্ষমা হয় হয়তো এমন ভুল করিনি যার
ক্ষমা হয় না।তবুও বলবো আমার এই চিঠি শুধু তোমার জন্য,
যদি পারো সব ভুলে সুখে থেকো
তুমি যে ভাবে সুখে থাকতে চেয়েছ নয়তো ফিরে এসো তখনি ভালবাসতাম আজও বাসি তাই আপন করে জড়িয়ে রাখবো হৃদয় ঘরে,অনামিকা এর জন্য নয়ন তত দিন থাকবে যত দিন নিঃশ্বাস থাকবে,কারন অনামিকা শুধুই আমারী ।
ইতি 
লেখক







হে বৃষ্টি,
লিপির শুরুতে তোমাকে জানাই এক বোতল মিথ্যাইল অ্যালকোহলের শুভেচ্ছা । কেমন আছ তুমি আশা নয় বিশ্বাস ভালো আছ ।
বৃষ্টি আমি তোমাকে আমি ভীষন ভালোবাসি আর এই ভালোবাসা বিজ্ঞানি নিউটনের ২য সূত্র F=ma সত্য ।তোমার প্রতি আমার এই ভালোবাসা স্পিং নিক্তি দিয়ে মাপা যাবে না
হে বৃষ্টি,
প্রথম যেদিন তোমাকে দেখি ঠিক সেই দিন থেকে আমার হৃদয়ে প্রেমের ট্রাসফরমারের তোমার A.C প্রবাহের জন্য অপেক্ষা করছে । তোমাকে এক নজর না দেখলে হৃদয় টা লিফ্ট পাম্পের মত ওঠানামা করে ।আর বন্ধ হয়ে যায় মনের গিরার চাকা কিন্তু যখন তোমাকে দেখি তখন নিজেকে হাইড্রোজেন(H) গ্যাসের চেয়ে হালকা লাগে ।
ওগো আমার ফেলন ,ওগো আমার ক্লোরোফর্ম তুমি কি আমার হৃদয়ে বুদবুদ শব্দ শুনতে পাওনা তবে কেন নিক্রিয় গ্যাসের মত আচরন কর ।
অগো আমার অ্যালভিওলাস, অগো আমার ভ্যান্টিলেশন(Vantilation),
Co2 কার্বন ডাই অক্সাইড ভরা পৃথিবীতে তোমার প্রেমের বিশুদ্ধ অক্সিজেন দিয়ে আমাকে বাচাও।
তুমি জান না আমি কতটা উতলা তোমার জন্য। আমার ডুয়েল কোর অন্তরে দুই গিগা বাইট র্যাম স্পিড থাকা সত্তেও তোমার গর্জিয়াস ইন্টারফেসের দিকে যখন তাকাই তখনই মাথা(CPU) হ্যাং করে। তোমার 3D দৃষ্টি আর HD ছবি আমার মনের LCD পর্দায় সর্বদাই ক্রিন সেভারের মতো লাফালাফি করে। যখনই তোমাকে ফুল ভার্শন মানে নিজের করে নিতে চেয়েছি তখনি তুমি রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলায় ফেলে দিয়েছ। কোন সিরিয়াল কী, কীজেন, ক্র্যাক বা প্যাচ বুদ্ধিতেও কাজ হয়নি। তোমার ফায়ারওয়াল সর্বদাই অনড়।তুমি জান না কত বখাটে(ভাইরাস) তোমাকে হ্যাক করতে চেয়েছিল কিন্তু আমি আমার লেটেস্ট আপগ্রেড শক্তি(এ্যান্টিভাইরাস) দিয়ে তাদের কে রিসাইকেল বিনে ছুরে ফেলেছি। আর সেই তোমাকে আমি যখন স্পর্শ(টাইপ) করতে চেয়েছি তখনই তুমি ২২০ ভোল্টের বিদুৎ ছেকার মতো না করে দিয়েছ।
তোমার ডেটা ধরের রাখার ক্ষমতা অসাধারন। সেই কবে ভুল প্রোগ্রাম ইন্সটল করেছিলাম সেই কথা তুলে তুমি এখনও error ম্যাসেজ শো করো। সৃষ্টিকর্তা তোমারে কোন প্রোগ্রাম দিয়ে বানিয়েছে তিনিই জানেন!

ওগো আমার ইথানল, এসো আমরা জারন- বিজারন বিক্রিয়া ঘটিয়ে সমযোজি বন্ধনে আবদ্ধ হয় ।
আমাদের প্রেমের এমরিফায়ারের গুনগুন শব্দ কোনদিন শেষ হবে না ।আর যদি কোন দিন আমাদের প্রেমে মরিচিকা পরে তুমি গ্যালভাইজিং করে নিও ।
চিঠি আর দীর্ঘায়িত করবো না। হার্ড ডিস্ক ক্র্যাশ করতে পারে।
বিদায় মলিন পর্দা টানার আগে তোমাকে জানাই লাল গোলাপের শুভেচ্ছা
ইতি পথিক


প্রিয় অনামিকা,
জানিস তুই ভুলে গেছিস তাতে দুঃখ নেই আমার, আমি তোকে খুব ভালোবাসতাম, আমি তোকে ভালোবাসতাম যখন তোর জুতার সাইজ ছিলো ছয় ।দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকলাম ।বড় ক্লাসে উঠলি ।কতো বই পুস্তক,এসব দেখে সেই গোয়াল ঘর থেকে ভাবতাম তোর অনেক রাত জেগে পড়াশুনা করতে হবে ্তাই তোদের গাভি গুলো কে অনেক ঘাস কেটে খাওয়াম একটু বাড়তি দুধের আশায় ।তোর বাবার দেওয়া কিছু টাকাতে জমাতাম ঘর বাধবো বলে।কিনতু তোর পাখি জামাটার কেনার জন্য যখন বললি ভাইয়া আমার কিছু টাকা লাগবো টাতো দিলাম ।সত্যি বলছি মন থেকে দিয়েছিলাম একটা টাকাও রাখিনি ।
এখন দেখি তোর অনেক বন্ধুও হয়েছে ।সে দিন তোর সাথে কে ছিলো,সত্যি সেদিন আমার মন খুর খারাপ হয়ে ছিলো,তোর নরম হাতটা যখন ধরলো ,তোকে টেনে নিয়ে গেল পার্কের শেষ প্রান্তে তখন আমার বুকের বাম পাশটা না চিমচিম করে উটলো কিন্তু তুই আনন্দ পেয়ে ছিলি।আমি তোকে খুব আপন করে পেতে চেয়ে ছিলাম, তুই সেই স্বপ্নটাকে পূরণ করতে দিলিনা আমার, আমি না হয় গরিব ছিলাম ,কেন আমাকে ভালো বাসছি ।আমিতো তকে মনে মনে ভালো বেসে ছিলাম । তুই তো বলেছিলি আমি তোমাকে ভালো বাসি ভাই ।তোমাকে ছাড়া আমি কিছু ভাবতে পারিনা ।কেন আমার মন টা নিয়ে খেলা করলি ।সত্যি বলছি আমি তোর দোষ দেয় না কখনো
আমার স্বপ্নটাকে পূরণ করতে পারলামনা, তুই যে তোর স্বপ্নটাকে পূরণ করতে যাচ্ছিস, সেই স্বপ্নটা তুই আখরে ধরে রাখিশ, তোর স্বপ্নটাকে তুই মিথ্যে হতে দিশনা, জানিশ তুই স্বপ্ন ভাংলে কতো কষ্ট হয়, জানিস না..আমি জানি, তুই যতোবার আমাকে ডেকেছিশ, আমি ততোবার তোকে পাবার জন্য পাগলের মতো তোর কাছে ছুটে গিয়েছি, শুধু তোর বুকে একটু জাইগা দিবি বলে, এতোটা কাছে ডেকেও তোর বুকে আমার জায়গা হয়নি, ছেরা কাগজের মতো ছুরে ফেলেছিশ, যখন ভাঙা মন নিয়ে চলে জায়, আবার কিছু দিন পর আবার ডাকিশ, তুই জানিশ আমি তোর জন্য পাগল, আমি আবার ও তোর কাছে ছুটে আশি, আবার যখন বুকটা চিরে হৃদপিনডোটা টেনে হেচরে বের করে নিশ, তখন আমার খুব কষ্ট হরে অনামিকা, তবুও চিৎকার করে কাঁদিনা, মৃত্যুর সাথে পানজা লরতে লরতে তোর জীবন থেকে অনেক দুরে চলে গেলাম, , ভালো থাকিশ আমার জান পাখি ময়না ।
ইতি
তোদের বাড়ির অবহেলিত
রাখাল







প্রিয়তমা প্রিয়ন্তি,
সেদিনও প্রথম দেখাতেই আমার দুচোখের ঘুম কেরে নিয়েছে অতি নীরবেই ।জানিনা কোন আমার এক অজানা প্রেম তুমি, নামটাও আমার দেয়া আর নিজের অজান্তেই কখন যে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি, তোমার প্রেমে পড়ে গেছি তা শুধু এই মনটাই জানে। জানো প্রিয়ন্তি,
চূড়ান্ত অপ্রেমে অবহেলার মৃত্যুদূত শিয়রে শমন হেনেছে বারবার ..!
কখনো তোমার নাম ধরে পিছু ডাকতেও তো পারিনি।
তোমার বিশালতার কাছে নিজেকে এত ক্ষুদ্র ,
এত দীন মনে করি .!
তবু তোমার নামের প্রেম যে ঢেলেছি অফুরান
তুমি তা বোঝ কিন্তু তোমার বোঝা হয়ে ওঠেনি !


হঠাত্ বুকে আলতো ছোঁয়া .
মাঝ বসন্তের দক্ষিণ হাওয়া
হাওয়া এসে বলল কানে ,
প্রজাপতির পেখম মেলে.
প্রেম এল রে প্রবাস খামে,
প্রেম এল রে কূল ছাপিয়ে .
বাণ এল রে হৃদ গগনে .।
প্রিয়ন্তি, তোমি হয়তো বলবে
হয়তো আমার প্রেম অনৈতিক । তাও জানি ।
সবটাই অর্থহীন , অবান্তর , ধুলোবালি প্রেম ,
তবু ভালোবেসে ফেলি অপ্রয়োজনেই .
অদৃশ্য ভাললাগার বন্যায় ভেসে যেতে যেতে ..
হয়তো বলবে , ". পাপ "
তা সে আমার হোক !
তবু খুনি তো আর নই ?
হয়তো স্বার্থপরের মত তোমায় ভালোবেসে
ভিখারিনীর চেয়েও বেশি নিঃস্ব করে ফেলি নিজেকে !
আমি তোমাকে লিখছি: আমার সমস্ত স্বত্বা
আর বিবেকের অনুপ্রেরণায়।
একটি দীর্ঘ ভালবাসার চিঠি, একটি স্বপ্নের সবিস্তার,
মৌনতার বিষাদময়তায় গুটি গুটি অক্ষরগুলো
তোমার চেতনাকে আলোড়িত করবে।
তুমি কোনদিন ভাবতেও পারোনি কোন এক
অখ্যাত কবি তার বিশ্বাসের পুঁজি দিয়ে
তোমার জন্য রচনা করবে এরকম একটি চিঠি,
তোমায় ভেবেছি .ভালোবেসেছি .বলেই তোমায় লিখেছি .
তুমি বললে ,. " পাগল ".! ভালোবেসে প্রিয় কবির কবিতার নামে তোমার নাম দিলাম !
তারপর ,একদিন তোমার বুকে নতুন প্রেমের
ঢেউ উউবে ।
ভালোবাসার সোঁদা গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে তোমার পৃথিবীটা ..আমার প্রাণে ও বুঝি বাঁধ ভাঙা খুশির বন্যা বয়ে যাবে !!
একদিন বললে , .." আর অত ভেবো না .
আর লিখো না .."
তবু মনে যে মানে না ! " ভুলি কেমনে "...!
হোক না তোমি প্রেম ভুল কবিতা !
শব্দে যে প্রেম গেঁথেছি .
বৃষ্টি ধোয়া খাতার পাতা..
ভেজালো চোখ বিষন্নতা
ক্যাম্পাসে যখন তোমাকে দেখি..
তোমার দিকেই তাকিয়ে থাকি লজ্জাহীন দৃষ্টিতে
ভাবতে থাকি শুধু তোমাকেই .
প্রিয়ন্তি,
তুমি জানোনা ভালবাসার মানে হচ্ছে অমর একটি সুর,
যে সুরের স্বরলিপি রচনা করবো আমি।
আমি দাড়িয়ে আছি একটি নদী-কিনারায়- যেখানে
স্রোতের তাণ্ডব আমাকে অমরত্বের সুর শোনায়।
তোমাকে আমি বিস্ময়কর সে সুরের ভেতর দিয়ে
তন্ন তন্ন করে খুঁজি। কোনদিন আমিও ভাবিনি।
আমার পীঠ স্যাঁতস্যাঁতে দেয়ালে আটকে আছে
মাথার উপরে অসংখ্য তাঁরা লাফালাফি করছে অনিয়মে
যেনো এখুনি ছিটকে পড়ে। আমি ঠিক এই সময় তোমার ধ্যান করছি,
তোমাকে লিখছি জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রেমের চিঠি;
এ চিঠি তোমার কাছে তুচ্ছ হতে পারে, তোমার কাছে
নিতান্তই উন্মাদ প্রেমিকের প্রলাপের মত হতে পারে
কিন্তু তুমি নিশ্চিত থাকো, এ চিঠি কোন সংশয় প্রদর্শন করবে না,
এ চিঠি তোমার মাংসপেশি আর নিতম্বের চর্চা করবে না,
এ চিঠি তোমার পেলব ঠোঁটের বৈশিষ্ট্যের গুণগান করতে নয়;
আজ আমি কেবল তোমাকে আগামী দিনের কথা শোনাবো।
ইতি
পাগল


প্রিয়ন্তী,
প্রতিটি সকালে ঘুম ভাঙে তোমার স্বপ্ন দেখে। প্রতিটি নিদ্রাহীন রাত্রির একচ্ছত্র অধিপতি তুমি। প্রতিটি দুপুরের রোদের ঝলকানি তোমার পরশ বুলিয়ে যায় আমার মনে। প্রতিটি চোখের ফোঁটার অনু পরমানু তোমার বন্দনায় লিপ্ত। অথচ প্রতিটি দিন তুমি হারিয়ে যাও গোধূলীর আলো হয়ে।আমা হতে লক্ষ যোজন দূরে।
না আমি কোন লেখক, না কোন কবি , তাইত রাতভর তোমাকে নিয়ে ভাবি আর আর হারিয়ে যাই তোমার ঐ মায়াবী হাঁসির মুগ্ধতায় ।
কৃষ্ণচূড়ার লাল পাপড়ির মতই হৃদয়ে রক্তিম ঢেউ খেলে যায় হে ললনা তোমার হাসি দেখে । ভালবাসার নদীতে সারাক্ষন ঢেউ খেলে যায় তোমার দেখা পেলে । তোমায় নিয়ে হৃদয়ে ভালবাসার তাজমহল গড়েছি, রহস্যের বেড়াজাল চূর্ণ করে সূচনা করেছি নতুন দিগন্তের তুমি জানো তোমাকে যত বার আমি দেখি ততবার ই একটি গান আমার হৃদয়ে বেজে উঠে আপনা আপনি ই আর সে গান টি হলো "
শাহজাহানে বানায় দিসে
তাজমহলের ঝিল,
তোরে লিখে দিলাম
দিলের আহসান মঞ্জিল ।
খোঁপায় পড়িস ফুল রে তুই
খোঁপায় পড়িস ফুল ।
তোর প্রেমেতে মাতোয়ারা
হয়েছি মশগুল ।
তোমাকে দেখেছিলাম বেশ কয়েক দিন আগে সোহরাওয়ার্দী কলেজের শহীদ মিনার এর ঠিক অপর পাশেই... হঠাত বিজলির আলোর মতন এক দর্শন দেখেছিলাম চোখ ফেরাতে পারছিলামনা ! যেন ভোরের আলোয় সদ্যো ফোটা একটা লাল গোলাপ ! সে যেন এখনো আছে আমার অন্তরের অন্তস্থঃতলে আচ্ছা তুমি তো খুব ভালো নৃত্য শিল্পী কিন্ত তুমি কি একটি কথা জানো? তুমি নাচঁ করো স্টেজ এ কিন্ত ঝড় উঠে যায় আমার বুকের মাঝখানে,, কি এক অদ্ভুত ভালোবাসা তাই না? তুমি বোধহয় জানো না তুমি হীনা আমাদের সোহরাওয়ার্দী কলেজ ই শূন্য! তুমি যেদিন কলেজ এ আসো না সেদিন পূরো থমকে থাকে চারিপাশ আর অভিমানমুখর হয়ে থাকে আমার এ পাগল মন,,শুধু দূর থেকে তোমায় একটিবার দেখার আশায় হাঁটু গেড়ে প্রেম নিবেদন কিংবা মিথ্যে প্রশংসায় নয়,
ভালবাসতে চায় নিতান্তই আমার মতন করে।তোমার নিঃশ্বাসের প্রতিটা শব্দ জমা রাখতে চাই আমার চেইন বিহীন বুক পকেটে। কোন গহনা কিংবা কৃএিম সাজে নয়,
সদ্য গোসলের পর তোমার এলো চুল ছড়িয়ে,শাড়ির পাড়ের সঙ্গে মিল করে,পড়িয়ে দিতে চাই এক টুকরো সূর্যটিপ। বিস্তীর্ণ অরণ্যের গাম্ভীর্যের মতো তুমি, সুপ্রাচীন সজীব সৌন্দর্য তুমি.. ভালোবাসি তোমাকে, অনেক বেশি ভালো আর তোমার ঐ বাকা ঠোটের হাসিটাকেও
ইতি,
পাগল
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
লেখকঃ বনি ইয়ামিন লাজু ।

Comments

Popular posts from this blog

Discrete Mathematics - Rules of Inference

To deduce new statements from the statements whose truth that we already know,  Rules of Inference  are used. What are Rules of Inference for? Mathematical logic is often used for logical proofs. Proofs are valid arguments that determine the truth values of mathematical statements. An argument is a sequence of statements. The last statement is the conclusion and all its preceding statements are called premises (or hypothesis). The symbol “ ∴ ∴ ”, (read therefore) is placed before the conclusion. A valid argument is one where the conclusion follows from the truth values of the premises. Rules of Inference provide the templates or guidelines for constructing valid arguments from the statements that we already have. Table of Rules of Inference Rule of Inference Name Rule of Inference Name P ∴ P ∨ Q P ∴ P ∨ Q Addition P ∨ Q ¬ P ∴ Q P ∨ Q ¬ P ∴ Q Disjunctive Syllogism P Q ∴ P ∧ Q P Q ∴ P ∧ Q Conjunction P → Q Q → R ∴ P → R P → Q Q → R ∴ P → R ...

Digital Circuits - Shift Registers

We know that one flip-flop can store one-bit of information. In order to store multiple bits of information, we require multiple flip-flops. The group of flip-flops, which are used to hold (store) the binary data is known as  register . If the register is capable of shifting bits either towards right hand side or towards left hand side is known as  shift register . An ‘N’ bit shift register contains ‘N’ flip-flops. Following are the four types of shift registers based on applying inputs and accessing of outputs. Serial In − Serial Out shift register Serial In − Parallel Out shift register Parallel In − Serial Out shift register Parallel In − Parallel Out shift register Serial In − Serial Out (SISO) Shift Register The shift register, which allows serial input and produces serial output is known as Serial In – Serial Out  (SISO)  shift register. The  block diagram  of 3-bit SISO shift register is shown in the following figure. This block d...

discrete mathematics: Venn Diagrams

Venn Diagrams Venn diagram, invented in 1880 by John Venn, is a schematic diagram that shows all possible logical relations between different mathematical sets. Examples Set Operations Set Operations include Set Union, Set Intersection, Set Difference, Complement of Set, and Cartesian Product. Set Union The union of sets A and B (denoted by  A ∪ B A ∪ B ) is the set of elements which are in A, in B, or in both A and B. Hence,  A ∪ B = { x | x ∈ A   O R   x ∈ B } A ∪ B = { x | x ∈ A   O R   x ∈ B } . Example  − If  A = { 10 , 11 , 12 , 13 } A = { 10 , 11 , 12 , 13 }  and B =  { 13 , 14 , 15 } { 13 , 14 , 15 } , then  A ∪ B = { 10 , 11 , 12 , 13 , 14 , 15 } A ∪ B = { 10 , 11 , 12 , 13 , 14 , 15 } . (The common element occurs only once) Set Intersection The intersection of sets A and B (denoted by  A ∩ B A ∩ B ) is the set of elements which are in both A and B. Hence,  A ∩ B = { x | x ∈ A   A N D...